You are currently viewing গোটা না গুঁড়া—জিরা কীভাবে খেলে বেশি উপকার

গোটা না গুঁড়া—জিরা কীভাবে খেলে বেশি উপকার

রান্নায় ফোড়ন হিসেবে অনেকেই গোটা জিরা ব্যবহার করেন। আবার গুঁড়া মসলা হিসেবেও জিরা ব্যবহার করা হয়। এভাবে খেলে কি জিরার সব গুণ অক্ষুণ্ন থাকে? নাকি জিরার সব উপকারিতা পেতে হলে আলাদা কোনো পদ্ধতিতে খাওয়া ভালো? চলুন জেনে নিই।

মানবদেহের জন্য দারুণ এক ভেষজ উপাদান জিরা। হজমের জন্য উপকারী জিরা বমি ভাব কমায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। কিন্তু এতসব উপকার পেতে হলে আপনাকে জিরা খেতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে। এমনটাই জানালেন রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।

মসলায় নেই সব গুণাগুণ

ফোড়ন হিসেবে গোটা জিরা কিংবা মসলা হিসেবে জিরার গুঁড়া ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ বাড়ে। রান্নায় আসে সুঘ্রাণ। তবে উপকারিতার সামান্যই মিলবে তাতে। রান্নায় ব্যবহৃত এই গোটা জিরা বা জিরার গুঁড়া কেবল হজম সহায়ক ভূমিকাই রাখতে পারে। বাকি গুণাগুণের কোনোটিই কিন্তু আপনি এভাবে জিরা খেলে পাবেন না। বোতলজাত জিরা–পানি থেকেও সব ধরনের উপকার পাবেন না। কেবল সাময়িক স্বস্তি পাবেন।

যেভাবে মিলবে উপকার

  • গোটা জিরা টেলে নিন। এই জিরা গুঁড়া করে পানীয় তৈরির সময় কাজে লাগান। এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ বা তার কম জিরা যোগ করুন। এই পানীয় বেশ স্বাস্থ্যকর। এর স্বাদও দারুণ।
  • জিরার গুঁড়া যোগ করতে পারেন টক দইয়ের সঙ্গে। হালকা নাশতা হিসেবে এই মিশ্রণটি খেতে চাইলে কিছু ফলের টুকরাও যোগ করতে পারেন।

এক চা–চামচ গোটা জিরা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পাঁচ-ছয় ঘণ্টা পর পানিটুকু খেয়ে নিতে পারেন। এতে সামান্য পরিমাণ অ্যান্টি–অক্সিডেন্টও পাবেন।

এক চা-চামচ গোটা জিরা এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন পাঁচ-ছয় ঘণ্টার জন্য। এরপর ছেঁকে নিন। এতে যোগ করুন খানিকটা লেবুর রস। এই পানীয় থেকেও অল্প পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।

খেয়াল রাখুন

এসব পদ্ধতির যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন প্রতিদিনের জন্য। একই দিনে একাধিক পদ্ধতি বেছে নিলেই যে বেশি উপকার মিলবে, তেমনটা না–ও হতে পারে। বরং হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ, অতিরিক্ত জিরা খাওয়া ভালো নয়। তাতে বদহজম হতে পারে।