You are currently viewing ভালো ঘুম চাইলে কখন ব্যায়াম করবেন? জেনে নিন সেরা সময় ও উপকারিতা!
ভালো ঘুম চাইলে কখন ব্যায়াম করবেন? জেনে নিন সেরা সময় ও উপকারিতা!

ভালো ঘুম চাইলে কখন ব্যায়াম করবেন? জেনে নিন সেরা সময় ও উপকারিতা!


শরীরচর্চা আর ঘুম—দুটোই সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। কিন্তু জানেন কি, ব্যায়ামের সময়ের উপরও নির্ভর করে আপনার ঘুমের গুণগত মান? কেউ সকালে, কেউ বিকেলে, আবার কেউ রাতে ব্যায়াম করেন। তবে গবেষণা বলছে, দিনের নির্দিষ্ট সময়ে শরীরচর্চা করলে গভীর ঘুম হয়, মানসিক চাপ কমে এবং শরীর প্রাণবন্ত থাকে। চলুন জেনে নিন, ঘুমের জন্য আদর্শ সময় কোনটা!

১. সকালের ব্যায়াম: সুপারহিরো মোডে সারা দিন!

সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করাকে অনেক বিশেষজ্ঞ “গোল্ডেন টাইম” বলেন। দীর্ঘ ঘুমের পর শরীর থাকে রিচার্জড, মস্তিষ্ক থাকে সতেজ। সকালের ব্যায়াম মেটাবলিজম বাড়ায়, সারাদিন এনার্জি দেয় এবং রাতের ঘুমে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ৩০-৪৫ মিনিট কার্ডিও বা যোগাসন করলে মেলাটোনিন হরমোন (ঘুমের হরমোন) সঠিক সময়ে নিঃসৃত হয়, যা রাতে দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে।

২. বিকেলের ব্যায়াম: পেশির শক্তি বৃদ্ধির সেরা সময়!

যদি সকালে ব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, বিকেল ৩-৫টার মধ্যে শরীরচর্চা করুন। এই সময়ে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে থাকে, পেশির কর্মক্ষমতা সর্বোচ্চ হয়। ভারী ওজন তোলা বা স্ট্রেন্থ ট্রেনিংয়ের জন্য বিকেল আদর্শ। এ সময়ে ব্যায়াম করলে আঘাতের ঝুঁকি কম, ঘুমেও ব্যাঘাত ঘটে না। তবে ব্যায়ামের পর হালকা স্ট্রেচিং করুন—রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখতে!

৩. রাতের ব্যায়াম: হ্যাঁ, তবে সাবধানতা জরুরি!

অফিস বা পড়াশোনার চাপে অনেকেই রাতেই ব্যায়াম করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম (যেমন: স্ট্রেচিং, হাঁটা, ইয়োগা) করা যায়। তবে রাতে হাই-ইনটেনসিটি ওয়ার্কআউট (HIIT) এড়িয়ে চলুন। এতে হার্ট রেট বেড়ে গেলে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে। রাতের ব্যায়ামের পর গরম পানিতে গোসল করুন—ঘুমের জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করবে!

৪. এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন:

  • ভরা পেটে বা খালি পেটে ব্যায়াম নয়: খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পর ব্যায়াম করুন। সকালে হালকা খাবার (যেমন: কলা বা বাদাম) খেয়ে নিন।
  • হাইড্রেশন ভুলবেন না: ব্যায়ামের সময় পানি পান করুন, তবে অতিরিক্ত নয়।
  • ঘুমানোর আগে এক্সারসাইজ নয়: ভারী ব্যায়াম করলে অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসরণ বাড়ে—ঘুম উধাও হতে পারে!

৫. “কোন সময়টা আমার জন্য সেরা?”

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—আপনার রুটিনের সাথে সামঞ্জস্য রাখা। সকালে ব্যায়াম করলে ঘুম ভালো হয়, বিকেলে করলে পেশি শক্তিশালী হয়। তাই লাইফস্টাইল অনুযায়ী সময় বেছে নিন। নিয়মিততা (চাবিকাঠি)! প্রতি দিন ২০-৩০ মিনিটও যথেষ্ট, যদি তা ধারাবাহিক হয়।

উপসংহার:
“ব্যায়ামের সময় নিয়ে চিন্তার চেয়ে শুরু করা জরুরি!” আপনার শরীরই আপনাকে জানান দেবে কোন সময়টা সেরা। সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়ামের রুটিন বানান, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং রাতের খাবার হালকা রাখুন। মনে রাখবেন, নিয়মিত শরীরচর্চাই আপনাকে দেবে ঝরঝরে সকাল আর শান্তির ঘুম। আজই শুরু করুন—আগামীকালের সুস্থতা আজই গড়ে উঠুক!